• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক লাইভে এসে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড


ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২১, ০৪:২২ পিএম
ফেসবুক লাইভে এসে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

ফেনী শহরের বারাহিপুর এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে ফেসবুক লাইভে এসে তাহমিনা আক্তার নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় স্বামী ওবায়দুল হক টুটুলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ফেনী জেলা ও দায়রা জজ বেগম জেবুন্নেসা এই রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাফেজ আহমদ জানান, মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেন আদালত।

আদালত সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) তাহমিনা হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে টুটুলের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন পাবলিক প্রসিকিউটর হাফেজ আহম্মদ ও বাদীপক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু। আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন আইনজীবী আবদুস সাত্তার।

চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এই মামলায় ১৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর একমাত্র আসামি ওবায়দুল হক টুটুলকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ গঠন করা হয়।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মো. ইমরান হোসেন গত ১১ নভেম্বর টুটুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল স্ত্রী তাহমিনাকে কুপিয়ে হত্যা করেন ওবায়দুল হক টুটুল। এ ঘটনায় তাহমিনার বাবা সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন।

পরিবার সূত্র জানায়, প্রায় পাঁচ বছর আগে ফেনী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড বারাহিপুর এলাকার গোলাম মাওলা ভূঁঞার ছেলে ওবায়দুল হক ভূঁঞা টুটুল কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আকদিয়া গ্রামের সাহাব উদ্দিনের মেয়ে তাহমিনা আক্তারকে বিয়ে করেন। তাদের তাফান্নুন আরোয়া মায়োস নামে দেড় বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে। স্ত্রীকে হত্যার আগে ফেসবুক লাইভে এসে টুটুল সবার কাছে মাফ চান এবং ঘটনার জন্য নিজেই দায়ী বলে স্বীকার করেন। এছাড়া পারিবারিক অশান্তির জন্য স্ত্রীকে দায়ী করেন তিনি। তার স্ত্রী পরিবারকে ‘ব্ল্যাক মেইল’ করতেন বলেও দাবি করেন। ভিডিওতে টুটুল তার মেয়েকে দেখভালের জন্য সবার কাছে অনুরোধ করেন।

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!